বাংলাদেশ ব্যাংকের AD নিয়োগ পরীক্ষার A to Z প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে

 বাংলাদেশ ব্যাংকের AD নিয়োগ পরীক্ষার A to Z প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে

পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি, বিরাট গুরু ছাগলের হাট নাকি গরু-ছাগলের বিরাট হাট!
প্যাসেজ/লাইনের কোন এক-দুটি শব্দের অর্থ না পারলেই টোটাল জিনিসটা ছেড়ে আসবেন না। আবার কিছু কিছু ট্রান্সলেশসন দেখতে কঠিন মনে হলেও আসলে সহজ! যেমন ভবনটি পড় পড় হইয়া পড়িয়াছে- The building is about to collapse. তাই প্রশ্নকর্তাকে গালি দেয়ার দরকার নেই!!
১. প্রথমেই বিগত বছরের বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যন্য বিশেষত সরকারী ব্যাংক এবং বিসিএস এর লিখিত প্রশ্নের ট্রান্সলেশন এবং অনুবাদ শেষ করে ফেলুন (কমপক্ষে ১০ বছরের)।
২. Daily Star/Financial Express পত্রিকার বিজনেস পাতাটা ভাল করে পড়তে পারেন পাশাপাশি বিদেশী কোন ভাল পত্রিকা/ম্যাগাজিন যেমন Reader Digest/The Economist পড়তে পারেন (নীলক্ষেত পুরোনো কপি পাবেন নামমাত্র দামে)।
► ফোকাস রাইটিং:
প্রথমত: ইংরেজী/বাংলা:
মনে রাখবেন কম্পিটিটিভ এ্যাভান্টেজ পেতে হলে লেখা অবশ্যই তথ্যসমৃদ্ধ হতে হবে। অন্যথায় নম্বর অনেক কম পাবেন। এত তথ্য মনে রাখব কিভাবে! সমগ্র রচনাকে একটা কয়েকটা সমজাতীয় sector একত্রিত করে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ করুন যেমন-ব্যাংকিং সেক্টর (স্কুল ব্যাকিং, এজেন্ট ব্যাকিং, ব্যাংকের ভুমিকা প্রভৃতি, ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন, মোবাইল ব্যাংকিং), RMG সেক্টর, রেহিঙ্গা সংকট, জঙ্গীবাদ নিরসন, সমাধান, এসএমই/মাইক্রোক্রেডিট, রেমিট্যান্স, সুশাসন, উঠতি শিল্প, ব্যাকিং Scam/ডিজিটাল ফ্রড, মধ্যম আয়ের দেশ, SDG এর গুরুত্বপূর্ণ দফাসমূহ, Investment স্থবিরতা, বেক্সিট: বাংলাদেশের প্রভাব, ব্লু ইকোনোমি, জিডিপির ব্রেক আপ/এ্যানালাইসিস প্রভৃতি এভাবে অন্যগুলোও গ্রুপে ফেলে ডাটা কালেক্ট করুন। দেখবেস কমন না পড়লেও অনেক ভাল পরীক্ষা দিতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত:
প্রেজেন্টশন অবশ্যই আলাদা হওয়া চাই যেমন ধরুন পরীক্ষায় অর্থনীতির উন্নয়নে রেমিটেন্স এর গুরুত্ব লিখতে বলা হল-এখন যদি আপনি লেখার মধ্যে একটা পাই চার্ট দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারেন যে কোন দেশ থেকে কত রেমিট্যান্স এসেছে বা % কিরকম-আবার পরের প্যারায় যদি একটি বার ডায়াগ্রাম দিয়া কয়েক বছরের রেমিট্যান্স এর একটা গ্রাফ দিতে পারেন এবং গত কয়েক বছরের রেমিট্যান্স এর একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই মার্কসটা একটু বেশিই আসবে।
তৃতীয়ত: কম লিখুন কিন্তু গুছিয়ে সুন্দর করে লিখুন।
এখন তথ্য কোথা হতে কালেক্ট করবেন! হ্যাঁ–কয়েকটি সোর্স আমি বলছি-বালাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট, অর্থনৈতিক সমীক্ষা, এসএমই ফাউন্ডেশন এর ওয়েবসাইট, ব্যুরো অব স্ট্র্যাটিসটিকস এর ওয়েবসাইট, স্টক এক্সচেঞ্জ এর ওয়েবসাইট, মাসিক কারেন্ট ওয়ার্ল্ড এবং কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স প্রভৃতি থেকে যেখানে যে তথ্য পাওয়া যায়-টপিক ওয়াইজ নোট/কালেক্ট করতে শুরু করুন।
► ম্যাথ:
সাধারণত তিনটি ম্যাথে ৩*১০ = ৩০ নম্বর থাকে। এ অংশে ভাল করতে পারলে চান্সটা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে অনেকেই বলেন ৩ ম্যাথ না হলে চান্স হয়না। এমনটা সত্য নয়। কেউ যদি বাকী ১৭০ নম্বরে অনেক ভাল করে তার চান্স অনেক বেশি থাকে। তবে ম্যাথ পারলে তো কথাই নেই। দেখবেন আপনি ম্যাথ অনেক ভাল পারেন কিন্তু পরীক্ষার হলে ম্যাথগুলো পারতে বেশ কষ্ট হয়, কারণ এ ম্যাথগুলো একটু প্যাঁচানো থাকে। তাই আপানাদের কাজ হবে যেসব ম্যাথগুলো একটু ক্রিটিক্যাল বা ঝামেলাপূর্ণ সেগুলো বেশি বেশি করা। সাধারণত নিচের টপিকগুলো হতে ম্যাথ আসে-
Percentage, unitary method
Profit & Loss, Partnership
Fraction, Ratio, & Proportion
Work and time
Equations
Time and distance/Boat and stream
Interest Rate
Exponent/ logarithm
Geometry
High probability trading strategies
ম্যাথগুলো সাধারণত বিগত বছরের প্রশ্ন হতে কমন পড়ে, অনেক সময় এমনও হয় কোন ব্যাংকের একটা এমসিকিউ ম্যাথে আসা অংকটিই আবার রিটেনে তুলে দেয়া হয়, তাই বিগত বছরের প্রশ্নগুলো আগে সলভ করুন প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংক + সরকারী ব্যাংকগুলো এরপর সময় থাকলে প্রাইভেট ব্যাংকেরগুলো। ভাল হয় যেসব ম্যাথগুলো একটু ক্রিটিক্যাল সেগুলোর একটা তালিকা করে রাখুন যাতে ঐগুলো বারবার দেখতে পারেন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-থেকে ১০ টি রিটেন ম্যাথ করুন।
► প্যাসেজ/কম্প্রিহেনশন: এ ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলুন-
১. প্রথম প্যাসেজটি না পড়ে প্রশ্নগুলো আগে পড়ুন (২ বার পড়ুন) এতে করে প্যাসেজটি যখন পড়বেন তাখন ঐ প্রশ্নের উত্তর যখনই আসবে সে লাইনগুলো ধীরে ধীরে পড়ে মার্ক করতে পারবেন ;
২. প্যাসেজ থেকে হুবহু উত্তর তুলবেন না, নিজের ভাষায় মিক্সড করে লিখুন ;
৩. প্রশ্নটি যে টেন্সে থাকবে উত্তরও সে টেন্সেই করতে হবে।
শুভ হোক আপনার প্রস্তুতি

Courtesy —- Yousuf Bin Ali, DD,Bangladesh Bank, MBA-IBA(DU)

Catagories