এরোবিক এবং এ্যানোরিবিক ব্যায়াম দুই ধরণের শারীরিক কার্যকলাপ যা আমাদের শরীরের উপর ভিন্ন প্রভাব ফেলে।
এরোবিক ব্যায়াম হলো এমন ব্যায়াম যেখানে শরীরের পেশীগুলি দীর্ঘ সময় ধরে অক্সিজেন ব্যবহার করে কাজ করে। এই ধরণের ব্যায়ামে হৃদরোগ, ফুসফুস, এবং রক্ত প্রবাহের উন্নতি হয়। এরোবিক ব্যায়ামের কিছু উদাহরণ হলো দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, এবং সাইক্লিং।
এ্যানোরিবিক ব্যায়াম হলো এমন ব্যায়াম যেখানে শরীরের পেশীগুলি অক্সিজেন ছাড়া কাজ করে। এই ধরণের ব্যায়ামে শরীরের শক্তি এবং সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়। এ্যানোরিবিক ব্যায়ামের কিছু উদাহরণ হলো ওজন তোলা, স্প্রিন্ট, এবং জাম্পিং।
এরোবিক এবং এ্যানোরিবিক ব্যায়ামের মধ্যে আরও কিছু পার্থক্য রয়েছে:
সময়কাল:
এরোবিক: এরোবিক ব্যায়াম ২০ মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে করা হয়।
এ্যানোরিবিক: এ্যানোরিবিক ব্যায়াম ২ মিনিট বা তার কম সময় ধরে করা হয়।
তীব্রতা:
এরোবিক: এরোবিক ব্যায়াম মধ্যম তীব্রতার হতে হবে, যা আপনাকে কথা বলতে পারবে কিন্তু গান গাইতে পারবে না এমন তীব্রতা।
এ্যানোরিবিক: এ্যানোরিবিক ব্যায়াম উচ্চ তীব্রতার হতে হবে, যা আপনাকে কথা বলতেও কষ্ট হবে।
শক্তি উৎস:
এরোবিক: এরোবিক ব্যায়ামে চর্বি এবং কার্বোহাইড্রেট উভয়ই শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এ্যানোরিবিক: এ্যানোরিবিক ব্যায়ামে কার্বোহাইড্রেট শুধুমাত্র শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
এরোবিক: দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইক্লিং, নৃত্য।
এ্যানোরিবিক: ওজন তোলা, স্প্রিন্ট, জাম্পিং, প্লেয়ার্ট্রিক ব্যায়াম।