বিজ্ঞান থেকে বিভিন্ন চাকুরীর পরীক্ষায় আসা ২০০টি প্রশ্ন উত্তর (এখান থেকে প্রশ্ন কমন থাকবেই)
বিজ্ঞান থেকে বিভিন্ন চাকুরীর পরীক্ষায় আসা ২০০টি প্রশ্ন উত্তর (এখান থেকে প্রশ্ন থাকবেই)
1) আমাদের দেহকোষ রক্ত হতে গ্রহণ করে অক্সিজেন ও গ্লুকোজ।
2) উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র ট্যাকোমিটার।
3) এনজিও প্লাষ্টি হচ্ছে হ্রৎপিন্ডের বন্ধ শিরা বেলুনের সাহায্যে ফুলানো।
4) কচুশাক বিশেষভাবে মূল্যবান যে উপাদানের জন্য লৌহ।
5) কম্পিউটার আবিষ্কার করেন হাওয়ার্ড এইকিন।
6) কর্কটক্রান্তি রেখা বাংলাদেশের মধ্যখান দিয়ে গেছে।
7) কার্বুরেটর থাকে যে ইঞ্জিনে পেট্রোল ইঞ্জিনে।
8) ক্যাসেটের ফিতার শব্দ রক্ষিত থাকে চুম্বক ক্ষেত্র হিসাবে।
9) ক্লোনিং পদ্ধতিতে জন্মগ্রহণকারী ভেড়ার নাম ডলি।
10) গ্যালিলিও’ হলো পৃথিবী থেকে পাঠানো বৃহস্পতির একটি কৃত্রিম উপগ্রহ।
11) গ্লিসারিন দ্রবীভূত হয় না পানিতে।
12) চাঁদে কোন শব্দ করলে তা শোনা যাবে না, কারণ চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই।
13) জলজ উদ্ভিদ সহজে ভাসতে পারে কারণ এদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরী থাকে।
14) জোয়ার ভাটার তেজকটাল হয় অমাবস্যায়।
15) টুথপেষ্টের প্রধান উপাদান সাবান ও পাউডার।
16) ডিজিটাল ঘড়ি বা ক্যালকুলেটারে কালচে অনুজ্জ্বল যে লেখা ফুটে উঠে সেটি সিলিকন চিপ।
17) তামার সাথে যে উপাদান মেশালে পিতল হয় দস্তা (জিঙ্ক)।
18) দিনরাত্রি সর্বত্র সমান নিরক্ষরেখায়।
19) পানিতে নৌকার বৈঠা বাঁকা দেখা যাওয়ার কারণ আলোর প্রতিসরণ।
20) পিসি কালচার’ বলতে বুঝায় মৎস্য চাষ।
21) বাদুড় চলাফেরা করে সৃষ্ট শব্দের প্রতিধ্বনি শুনে।
22) বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয় প্রতিবছর ৫ জুন।
23) বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট যে ধাতু দিয়ে তৈরি টাংষ্টেন।
24) ভূমিকম্প নির্ণায়ক যন্ত্র সিসমোগ্রাফ।
25) মঙ্গলগ্রহে প্রেরিত নভোযান ভাইকিং।
26) মাছ অক্সিজেন নেয় পানির মধ্যে দ্রবীভূত বাতাস হতে।
27) মানুষের গায়ের রং নির্ভর করে যে উপাদানের উপর মেলানিন।
28) মানুষের স্পাইনাল কর্ডের দৈর্ঘ্য ১৮ ইঞ্চি (প্রায়)।
29) যখন সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে চাঁদ অবস্থান করে তখন হয় সূর্য গ্রহণ।
30) যে ভিটামিন ক্ষতস্থান হতে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে ভিটামিন ‘K’।
31) যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে দর্পণ।
32) যে হরমোনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয় ইনসুলিন।
33) রঙ্গীন টেলিভিশন হতে ক্ষতিকর যে রশ্মি বের হয় গামা রশ্মি।
34) রেফ্রিজারেটরে কমপ্রেসরের কাজ ফ্রেয়নকে বাষ্পে পরিণত করা।
35) শব্দের তীব্রতা নির্ণায়ক যন্ত্র অডিও মিটার।
36) সমুদ্র পৃষ্ঠে বায়ুর চাপ প্রতি বর্গ সেন্টিমিটারে ১০ নিউটন।
37) সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয় যে যন্ত্র দ্বারা ফ্যাদোমিটার।
38) সালোক সংশ্লেষণ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে হয় সবুজ আলোতে।
39) সিনেমাস্কোপ প্রজেক্টরে যে ধরনের লেন্স ব্যবহৃত হয় অবতল।
40) CNG -এর অর্থ কমপ্রেস করা প্রাকৃতিক গ্যাস।
41) অ্যাসিড আবিস্কার হয় কবে ? ১৯৮১ সালে
42) অ্যাসিড নীল লিটমাস পেপারকে কী করে ? লাল করে
43) আকাশ নীল দেখায় কেন ? নীল আলোর বিক্ষেপণ অপেক্ষাকৃত বেশি
44) আকাশে মেঘ থাকলে গরম বেশি লাগে কেন ? মেঘ ভূ-পৃষ্ঠের তাপ বিকিরণে বাধা দেয় বলে
45) আঙ্গুরে কোন অ্যাসিড থাকে ? টারটারিক অ্যাসিড
46) আধুনিক কম্পিউটার কে আবিস্কার করেন ? চার্লস ব্যাবেজ
47) আপেলে কোন অ্যাসিড থাকে ? সালিক অ্যাসিড
48) আমলকিতে কোন অ্যাসিড থাকে ? অক্সালিক অ্যাসিড
49) আমিষ জাতীয় খাদ্য কোন জারক রস পরিপাক করে ? পেপসিন
50) আয়নার পিছনে কিসের প্রলেপ দেয়া হয় ? সিলভারের
51) আয়োডিন প্রকৃতিতে কিভাবে থাকে ? কঠিন অবস্থায়
52) আলকাতরা কী থেকে তৈরী হয় ? কয়লা
53) আলোর গতির আবিস্কারক কে ? এ মাইকেলসন
54) ইউরোসিল কোথায় থাকে? -RNA তে।
55) ইনসুলিন কোথায় উত্পন্ন হয় ? অগ্নাশয়ে
56) ইন্টারফেরন কি? ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক গুলো প্রোটিনের সমষ্টি যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
57) ইলেকট্রন কে আবিস্কার করেন ? জন থম্পসন
58) ইস্পাত তৈরিতে লোহার সাথে কী মিশাতে হয় ? কার্বন
59) ইস্পাতে কার্বনের শতকরা পরিমাণ কত ? ০.১৫ – ১.৫ %
60) উচ্চ শ্রেনীর প্রটিন সমৃদ্ধ খাবার কোনটি ? মাংশ
61) উড পেন্সিলের শীষ কী দিয়ে তৈরী হয় ? গ্রাফাইট
62) ‘উড স্পিরিট ‘ কী ? মিথাইল এলকোহল
63) উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম কী ? ট্যাকমিটার
64) উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জনক কে ? থিও ফ্রাসটাস
65) উদ্ভিদের জীবন্ত জীবাশ্ম কোনটি ? Cycas .
66) উদ্ভিদের প্রজনন অঙ্গ কোনটি ? ফুল
67) একোয়া রেজিয়া বা রাজ অম্ল কাকে বলে ? ৩:১ অনুপাতের নাইট্রিক ও হাইড্রক্লোরিক অ্যাসিড
68) এটম বোমা কে আবিস্কার করেন ? অটোহ্যান
69) এন্টামিবার সংখ্যাধিক্যে মানব দেহে কী সৃষ্টি হয় ? আমাশয়
70) এ্যাক্টোডার্মাল ডিসপ্লেসিয়া > ঘামগ্রন্থি ও দাঁতের অনুপস্থিতি
71) কচু খেলে গলা চুলকায় কিসের উপস্থিতির জন্য ? ক্যালসিয়াম অক্্রলিক
72) কচু শাকে কি বেশি থাকে ? লৌহ
73) কঠিন পদার্থে তাপ কোন পদ্ধতিতে প্রবাহিত হয় ? পরিবহন পদ্ধতিতে
74) কফিতে কোন উপাদান থাকে ? ক্যাফেইন
75) কমলা লেবুতে কোন অ্যাসিড পাওয়া যায় ? এসকরবিক অ্যাসিড
76) কম্পাঙ্ক বাড়লে শব্দের তীক্ষ্নতা ? বাড়ে
77) কম্পিউটার কে আবিস্কার করেন ? হাওয়ার্ড এইকিন
78) কয়টি পদ্ধতিতে তাপ পরিবহন হয় ? ৩ টি
79) কাঁদুনে গ্যাস এর রাসায়নিক নাম কী ? করপিক্রিন
80) কাচ তৈরির প্রধান কাঁচামাল কী ? বালি
81) কান্সারকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রাথমিক পদক্ষেপ কোনটি?
ইন্টারফেরণ প্রয়োগ
82) কুইনাইন পাওয়া যায় কোন গাছ থেকে ? সিনকোনা
83) কে প্রথম রোবট আবিস্কার করেন ? উইলিয়াম গে ওয়ালটার
84) কে মেন্ডেলের ফ্যাক্টরের নাম দিয়েছিলেন জিন? বেটসন ( ১৯০৮ সালে।
85) কেচো কিসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় ? ত্বকের
86) কোন অধাতু বিত্দুত অপরিবাহী ? গ্রাফাইট
87) কোন উদ্ভিদ আমিষ ডাল
88) কোন এনজাইমের দ্বারা কাটা ডিএনএ জোড়া দেওয়া হয়?
লাইগেজ।
89) কোন গ্রুপের রক্তকে সর্বজন গ্রহীতা বলে ? এবি গ্রুপ কে
90) কোন গ্রুপের রক্তকে সর্বজনীন দাতা বলে ? ও গ্রুপ
91) কোন জন্তুর চারটি পাকস্থলী আসে ? গরুর
92) কোন জলজ জীবটি বাতাসে নিঃশ্বাস নেয় ? শুশুক .
93) কোন ধাতু সবচেয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ? তামা
94) কোন মস্তিস্ক যে কোনো সিদ্ধান্ত দ্রুত দিতে পারে ? পুরুষ
95) কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি ? কঠিন মাধ্যমে
96) কোন মৌলিক অধাতু সাধারণ তাপমাত্রায় তরল থাকে ? ব্রোমিন
97) কোন মৌলিক ধাতু সাধারণ তাপমাত্রায় তরল থাকে ? পারদ
98) কোন রংয়ের কাপে চা তারাতারি ঠান্ডা হয় ? কালো
99) কোন স্তন্যপায়ী প্রাণী ডিম পারে ? প্লাটিপাস
100) কোনো পদার্থের পারমানবিক সংখ্যা হলো ? পরমানুর প্রোটন সংখ্যা
101) কোষের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে কে ? নিউক্লিয়াস
102) ক্যালকুলাস কে আবিস্কার করেন ? নিউটন
103) ক্রোমোজোমে কোন কোন মৌলিক পদার্থ থাকে? ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম , লৌহ
104) ক্রোমোজোমের প্রোটিন কয় প্রকার ।? ২ প্রকার। ১. হিস্টোন ২. নন-হিস্টোন
105) ক্লোন পদ্ধতিতে প্রথম ভেড়ার নাম কী ? ডলি .
106) ক্লোনিং কত প্রকার? ৩প্রকার । জিন , সেল, জীব ক্লোনিং।
107) ক্লোরিন প্রকৃতিতে কিভাবে থাকে ? গ্যাসীয় অবস্থায়
108) ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পরা বন্ধ করে কোন ভিটামিন ? ভিটামিন-কে ] 109) ক্ষার লাল লিটমাস পেপারকে কী করে ? নীল করে
110) খাদ্য শক্তি বেশি থাকে কোন মাছে ? শুটকি মাছে
111) খাবার লবনের রাসায়নিক নাম কী ? সোডিয়াম ক্লোরাইড
112) গলগন্ড রোগ হয় কিসের অভাবে ? আয়োডিনের অভাবে
113) গ্যাভানাইজিং কী ? লোহার উপর দস্তার প্রলেপ
114) গ্রীষ্ম কালে কোন ধরনের কাপড় পরিধান করা ভালো ? সাদা
115) চাদে কোনো শব্দ করলে শোনা যায় না কেন ? বাতাস নেই বলে
116) চাদের বুকে অবতরণ করা চন্দ্রযানের নাম কী ? অ্যাপোলো -১১
117) চাদের বুকে কে প্রথম অবতরণ করে ? নীল আর্মস্ট্রং ও এডউইন অল্ড্রিন
118) চাদের বুকে প্রথম মানুষ অবতরণ করে ? ২১ জুলাই , ১৯৬৯ সালে
119) চায়ের পাতায় কোন উপাদান থাকে ? থিন
120) চুম্বুকের আকর্ষণ সবচেয়ে বেশী কোথায় ? মেরু বিন্দুতে
121) জীনের রাসায়নিক গঠন কী ? ডি এন এ
122) জীব RNA কোষে কয় প্রকার? -৩প্রকার । rRNA, mRNA, tRNA.
123) জীব জগতের বৈচিত্রের নিয়ন্ত্রককে? -জীন
124) জীব দেহের শক্তির উত্স কী ? খাদ্য
125) জীব প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ভাবিত নতুন প্রাণী কিংবা উদ্ভিদকে কি বলে ? ট্রান্সজেনিক প্রানী
126) জীব প্রযুক্তির উদাহরণ কোন গুলো ? অনুজীব বিজ্ঞান, টিস্যু কালচার , জিন প্রকৌশল
127) জীব বিজ্ঞানের জনক কে ? এরিস্টটল .
128) জীব সংরক্ষণ ও পচন নিবারণের জন্য কী ব্যাবহৃত হয় ফরমালিন
129) জীবাণু বিদ্যার জনক কে ? ভন লিউয়েন হুক .
130) জীবের বংশ গতির একক কোনটি ? জিন
131) জুভেনাইল গ্লুকোমা অক্ষিগোলোকের কাঠিন্য
132) টুথপেস্টের প্রধান উপাদান কী ? সাবান ও পাউডার
133) টেলিভিশন কে আবিস্কার করেন ? জন এল বেয়ার্ড
134) টেস্টিং সল্ট এর রাসায়নিক নাম কী ? সোডিয়াম মনো গ্লুটামেট
135) ট্রান্সজেনিক প্রানী উদ্ভাবনের মাধ্যমে প্রাণীগুলোর দুধ, রক্ত, মূত্র থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ আহোরণ করার প্রক্রিয়াকে কি বলে?
মলিকুলার ফার্মিং
136) ঠোটের কোনা মুখের ঘা কিসের অভাবে হয় ? ভিটামিন -বি -২
137) ডায়বেটিস রোগ হয় কীসের অভাবে ? ইনসুলিন
138) ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পিতামাতা- সন্তান কত ভাগ মিল পাওয়া যায় ? ৯৯.৯%
139) ড্রাই আইস বা শুস্ক বরফ কাকে বলে ? কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইড কে
140) তবকের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় কে ? কেঁচো .
141) তরঙ্গ দর্ঘ্য বাড়লে শব্দের তীক্ষ্নতা ? কমে
142) তরল পদার্থে তাপ কোন পদ্ধতিতে প্রবাহিত হয় ? পরিচলন পদ্ধতিতে
143) তামাকে বিষাক্ত কোন পদার্থ থাকে ? নিকোটিন
144) তামার সাথে টিন মিশালে কী উত্পন্ন হয় ? ব্রোঞ্জ
145) তামার সাথে দস্তা বা জিঙ্ক মেশালে কি উত্পন্ন হয় ? পিতল
146) তেঁতুলে কোন অ্যাসিড থাকে ? টারটারিক অ্যাসিড
147) থাইমিন কোথায় থাকে? ডিএনএ ।
148) দই কি ? দুধের জমাট বাঁধা ব্যাকটেরিয়া
149) দাড়ি গোফ গজায় কোন হরমোনের কারণে ? টেসটেস্টোরেন হরমোন
150) দিনের আলোতে কাজ করে চোখের কোন অংশ ? কনস
151) দুধে কোন অ্যাসিড থাকে ? ল্যাকটিক অ্যাসিড
152) দুধের ঘনত্ব কোন যন্ত্র দিয়ে মাপা হয় ? ল্যাকটোমিটার
153) দুধের প্রোটিনের নাম কী ? কেজিন
154) দুধের শর্করাকে কী বলে ? ল্যাকটোজ
155) দৃশ্যমান বর্ণালীর ক্ষুদ্রতম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কোন আলোর ? বেগুনী
156) দৃশ্যমান বর্ণালীর বৃহত্তম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কোন আলোর ? লাল
157) নবায়নযোগ্য শক্তির উত্স কোথায় ? ফুয়েল সেল
158) নাড়ির স্পন্দন প্রভাবিত হয় কিসের মাধ্যমে ? ধমনীর মাধ্যমে
159) নারী পুরুষের মধ্যে কার তথ্য ধারণ ক্ষমতা বেশি ? নারীর
160) নাসা প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে ? ১৯৫৮ সালে
161) নাসার সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ? যুক্তরাষ্টের ফ্লোরিডায়
162) নিউট্রন আবিস্কার করেন কে ? চ্যোডইউক
163) নিউমোনিয়া রোগ হয় কোথায় ? ফুসফুসে
164) নিম্ন শ্রেনীর প্রটিন সমৃদ্ধ খাবার কোনটি ? ডাল
165) পরমানুর চার্জ নিরপেক্ষ কণিকা কোনটি ? নিউট্রন
166) পরমানুর নিউক্লিয়াসে কি থাকে ? প্রোটন ও নিউট্রন
167) পরমানুর নেগেটিভ চার্জযুক্ত কণিকা কোনটি ? ইলেকট্রন
168) পরমানুর পজেটিভ চার্জযুক্ত কণিকা কোনটি ? প্রোটন
169) পরমানুর সর্বাপেক্ষা হালকা কোনা কোনটি ? ইলেকট্রন
170) পারমানবিক বোমা কে আবিস্কার করেন ? ওপেন হেমার
171) পাহাড়ে ওঠা কষ্টকর কেন ? অভিকর্ষজ বলের বিপরীদে কাজ করার জন্য
172) পুরুষ মানুষের জনন বৈশিস্টের জন্য দায়ী কোন ক্রোমোজম ? Y ক্রোমোজম
173) পূর্ণাঙ্গ স্নায়ু কোষকে কী বলে ? নিউরন
174) পৃথিবীতে মোট মৌলিক পদার্থের সংখ্যা কত ? ১১৮টি
175) পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে বস্তুর ওজন কেমন ? শূন্য
176) পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম স্তন্যপায়ী প্রাণী কোনটি ? বামন চিকা .
177) পৃথিবীর দ্রুততম পাখি কোনটি ? সুইফট বার্ড
178) পৃথিবীর প্রথম মহাকাশচারী কে ? উইরি গ্যাগারিন (১৯৬১ সালে)
179) পেনিসিলিন কে আবিস্কার করেন ? আলেকজান্ডার ফ্লেমিং
180) পেসমেকার কে আবিস্কার করেন ? জার্মানির সিমেন্স এলিয়া কোম্পানী , ১৯৫৮ সালে
181) প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মৌলের মধ্যে ধাতুর সংখ্যা কতটি ? ৭০ টি
182) প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মৌলের সংখ্যা কতটি ? ৯২ টি
183) প্রকৃতিতে রেডিও আইসোটোপের সংখ্যা কত ? ৫০ টি
184) প্রকৃতিতে সবচেয়ে কঠিন পদার্থ কোনটি ? হীরা
185) প্রতি মিনিটে হৃদপিন্ডের সাভাবিক স্পন্দন কত ? ৭২ বার
186) প্রথম কম্পিউটার প্রোগামের রচয়িতা কে ? লেডী এ্যাডো অগাস্টা
187) প্রাকৃতিক গ্যাস এর প্রধান উপাদান কী ? মিথেন
188) প্রাকৃতিক লাঙ্গল বলা হয় কাকে ? কেঁচো .
189) প্রাণী কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয় কাকে ? মাইটোকন্ড্রিয়া
190) প্রাণীর প্রজনন কাজে প্রয়োজন কোন ভিটামিন ? ভিটামিন-ই
191) প্রেসার কুকারে রান্না তারাতারি হওয়ার কারণ কী ? উচ্চ চাপে তরলের স্ফুটনাংক বৃদ্ধি
192) প্রোটন কণিকা আবিস্কার করেন কে ? রাদারফোর্ড
193) প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের প্রধান কাজ কী ? দেহের ক্ষয় পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন
194) ফারেনহাইট স্কেল এ মানব দেহের সাভাবিক উষ্ণতা কত ? ৯৮.৪ ডিগ্রী
195) ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায় কোন প্রাণী ? মাছ .
196) বংশ গতিবিদ্যার জনক কে ? মেন্ডেল
197) বংশগতির ভৌত ভিত্তি কে? ক্রোমোজোম
198) বট গাছের আঠায় কোন এমজাইম থাকে? ফাইসিন । যা কৃমিরোগে ব্যবহৃত হয় ।
199) বাংঙের হৃতপিন্ডের প্রকোষ্ট কয়টি ? ৩ টি
200) বাংলাদেশের একটি জীবন্ত জীবাশ্ম কাকে বলে ? রাজ কাঁকড়া
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর- এখান থেকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রতিবছর কিছু প্রশ্ন কমন পরে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর- এখান থেকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রতিবছর কিছু প্রশ্ন কমন পরে
Amplification by Stimulation Emission of Radiation. এটি হলো- একক রঙ্গের ও তীব্র শক্তিসম্পন্ন একগুচ্ছ আলো।
১০৬। কম্পিউটার ভাইরাস কী? [২০ তম বিসিএস লিখিত]
উত্তরঃ এক ধরনের প্রগ্রাম।
১০৭। অপটিকাল ফাইবার কী? [২০ তম বিসিএস লিখিত]
উত্তরঃ খুব সরু ও নমনীয় স্বচ্ছ কাচতন্তু।
১০৮। জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কাকে বলে? [২০ তম বিসিএস লিখিত]
উত্তরঃ জীবের উদ্ভাবন প্রযুক্তিকে।
১০৯। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য কী? [২০ তম বিসিএস লিখিত]
উত্তরঃ ভাইরাস অ-কোষীয় যাদের চলন ক্ষমতা নেই। ব্যাকটেরিয়া কোষীয় যার চলনক্ষমতা আছে।
Do women prefer "it" hard and fast or soft and slow?
Do women prefer "it" hard and fast or soft and slow?
A combination of both would be the most pleasurable.
Good sex usually starts slow and then builds it up. Towards the end it can be hard and fast, but when you go hard and fast too soon it’s not pleasurable.
. Any woman on any particular day enjoys “it” in varying ways, there are days/nights that she may want to be treated as a nasty whore and other days she may enjoy being a princess.
All I can tell you is good luck in figuring this out. LoL
But I still enjoy the adventure of finding out, hope you will too
Slow sex feels better than fast sex
Slow sex feels better than fast sex
There’s an ever growing trend that sex (and oral sex) needs to be hard and fast to be optimal. That the rougher you are and the faster you go, the better sex you’re having. I definitely don’t mean to say that people shouldn’t feel this way. For myself, however, I cannot disagree with this more!
Maybe I’m alone in this (hence this sub), but it seems the faster I go the less sensitive it is. It’s similar to how rubbing your hands quickly across your skin feels annoying, while slow and gentle feels more ticklish and sensual. After some time, fast/rough is desensitizing.
It’s also more prone to accidents that kill the mood. Slipping out and hitting pelvis, bumping teeth, having sore hips (from what women say). Not to mention exacerbating uncomfortable elements like mugginess from faster breathing, more sweat, fatigue, etc.
Sometimes partners I’ve had seem to think I’ll get off quicker if they go faster. They always look perplexed when I tell them that slowing down will make me finish quicker. Almost every person I’ve dated or matched with in the last couple years has said they enjoy being fucked by Donkey Kong.
মঙ্গলকাব্য কাকে বলে? মঙ্গল কাব্যের বৈশিষ্ট্য? মঙ্গলকাব্যের উদ্ভব ও বিকাশ, বিষয়বস্তু ও ধারা
মঙ্গলকাব্য কাকে বলে? মঙ্গল কাব্যের বৈশিষ্ট্য? মঙ্গলকাব্যের উদ্ভব ও বিকাশ, বিষয়বস্তু ও ধারা
মঙ্গলকাব্যের বিষয়বস্তু :-
অনুবাদ কাব্যের মতো এর প্রধান নির্ভর আখ্যান, তবে সেই উপাখ্যানে কোন সংস্কৃত মূলকাহিনীর উৎস নেই। গ্রামবাংলার ব্রতকথার সঙ্গে, মঙ্গলকাব্য গুলির ঐহিক কামনা বাসনার রূপায়ণও লক্ষ্য করা যায়।
এছাড়াও মঙ্গলকাব্যের মধ্যে দেবদেবীর বন্দনা, গ্রন্থোৎপত্তির কারণ বর্ণনা, নায়ক-নায়িকার বারমাস্যা, নারীগণের পতিনিন্দা, রন্ধন দ্রব্যের বিস্তৃত বর্ণনাও লক্ষ্য করা যায়।
আরও পড়ুন :- মনসামঙ্গল কাব্যের কাহিনি কি?
মঙ্গলকাব্যের উদ্ভব ও বিকাশ :-
পরবর্তী কালে জৈন-বৌদ্ধ-ব্রাহ্মণ্য ধর্মের মাধ্যমে আর্যদের সঙ্গে অনার্যদের সংস্পর্শ ঘটার ফলে তাদের আদিম দেবপরিকল্পনা ও ধর্মসংস্কার পরিবর্তিত হয়েছে।
তবে তারা তাদের নিজস্ব আদর্শানুসারে নিজ নিজ লৌকিক দেবতাদের পূজাপদ্ধতি ও মহিমাজ্ঞাপক কাহিনি নিয়ে পাঁচালি রচনা করেছে। এগুলোই পরবর্তী কালে মঙ্গলকাব্যের আকার পেয়েছে।
আরও পড়ুন :- চণ্ডী-মঙ্গল কাব্যের কাহিনি ও ধারা?
আর্য-ব্রাহ্মণ্য-ধর্ম-সংস্কার সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে কোন সংযোগ রাখে নি; অন্যদিকে জৈন-বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব সাধারণ মানবসমাজে ছড়িয়ে ছিল। সমাজ ও ধর্মজীবনের এ অবস্থাতেই এ দেশে তুর্কি আক্রমণ ঘটে ।
এই যুগান্তকারী তুর্কি আক্রমণের পরিণামে ব্রাহ্মণ্য ধর্ম ও সমাজ সংকটের সম্মুখীন হয় এবং তা থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য সাধারণ মানবজীবনের সংস্কার, ধর্মবিশ্বাস ও দেবদেবীকে গ্রহণ করেছিল।
এভাবে আর্য-অনার্যের মিলন ঘটে এবং লৌকিক দেবদেবীরাই মঙ্গলকাব্যের উপজীব্য হয়ে উঠলে এই নতুন কাব্যধারার প্রবর্তন সহজতর হয়। প্রকৃতপক্ষে এ দেশে তুর্কি আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সমাজের সঙ্গে মুসলমান সমাজের সংঘর্ষের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ মঙ্গলকাব্য গুলোর উদ্ভব সম্ভব হয়েছিল।
মঙ্গলকাব্য কাকে বলে বা কি :-
যে কাব্যে দেবতার আরাধনা, মাহাত্ম্য কীর্তন করা হয়, যে কাব্য শ্রবণেও মঙ্গল হয় এবং বিপরীতটিতে হয় অমঙ্গল; যে কাব্যের আধার মঙ্গল, এমন কি যে কাব্য যার ঘরে রাখলেও মঙ্গল হয়—তাকেই বলা হয় মঙ্গলকাব্য।
যে ধর্মমূলক কাব্যে লৌকিক ও পৌরাণিক দেবদেবীদের অলৌকিক মাহাত্ম্যের প্রতিষ্ঠা ঘটে ও লোক সমাজে তাঁদের পূজা প্রচারিত হয়, যার পাঠে কিংবা শ্রবণে ব্যক্তি সমষ্টির ঐহিক ও পারত্রিক মঙ্গল ঘটে, তাকে মঙ্গলকাব্য বলা হয়।
'বাংলা মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস'- এর লেখক ডঃ আশুতোষ ভট্টাচার্য মঙ্গলকাব্য সম্পর্কে বলেছেন,
“আনুমানিক খ্ৰীষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দী হইতে আরম্ভ করিয়া অষ্টাদশ শতাব্দীর কবি ভারতচন্দ্রের কাল পর্যন্ত বঙ্গসাহিত্যে যে বিশেষ এক শ্রেণীর ধর্মবিষয়ক আখ্যানকাব্য প্রচলিত ছিল, তাহাই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মঙ্গলকাব্য নামে পরিচিত”।
মঙ্গলকাব্য কত প্রকার ও কি কি :-
বৈষ্ণব মঙ্গলকাব্য
পৌরাণিক মঙ্গলকাব্য ও
লৌকিক মঙ্গলকাব্য
বৈষ্ণব মঙ্গলকাব্য :-
অদ্বৈত মঙ্গল
গোবিন্দ মঙ্গল
কৃষ্ণ মঙ্গল
রাধিকা মঙ্গল
জগৎ মঙ্গল
কিশোরী মঙ্গল
স্মরণ মঙ্গল
গোকুল মঙ্গল
রসিক মঙ্গল
জগন্নাথ মঙ্গল ইত্যাদি
পৌরাণিক মঙ্গলকাব্য :-
ভবানী মঙ্গল
দুর্গ মঙ্গল
অন্নদামঙ্গল
কমলা মঙ্গল
গঙ্গা মঙ্গল
চণ্ডিকা মঙ্গল ইত্যাদি
লৌকিক মঙ্গলকাব্য :-
মনসা-মঙ্গল
চণ্ডী-মঙ্গল
ধর্ম-মঙ্গল
কালিকা-মঙ্গল
শীতলা-মম্বল
রায় মঙ্গল
ষষ্ঠী মঙ্গল
সূর্য মঙ্গল
সারদা মঙ্গল ইত্যাদি
মঙ্গল কাব্যের ছন্দ:
লৌকিক ছন্দ বা ছড়ার ছন্দের পাশাপাশি মঙ্গলকাব্যে ব্যাপকভাবে অক্ষরবৃত্ত পয়ার ছন্দই প্রধানত ব্যবহৃত হয়েছে। যে পয়ার ছন্দ মঙ্গলকাব্যে ব্যবহৃত হয়েছে তাকে লঘু বা দ্বিপদী পয়ার বলে উল্লেখ করা যায়। প্রতিটি পদ আট এবং ছয় মাত্রায় বিভক্ত। পয়ার বা পাঁচালী ছন্দের পর মঙ্গলকাব্যে আর যে সকল ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে তাদের মধ্যে ত্রিপদী ছন্দ অন্যতম। অনেক সময় ত্রিপদী ছন্দকে মঙ্গলকাব্যের কবিগন লাচাড়ী বলে উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলকাব্যের প্রধান ছন্দ।মঙ্গলকাব্যের বৈশিষ্ট্য :-
- মঙ্গলকাব্যের একটি প্রধান উদ্দেশ্য দেবদেবীদের মাহাত্ম্য প্রচার করা।
- মঙ্গলকাব্যে কবির ভূমিকা অংশে পূর্বপুরুষের পরিচয়, বসবাসের বর্ণনা, স্বপ্ন-আদেশ প্রভৃতির অল্প-বিস্তর বর্ণনার উল্লেখ থাকে।
- মঙ্গলকাব্যের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য কবিদের ভনিতা ব্যবহার। এখানে কবির নাম, তার পদবী, আশ্রয়দাতা, পৃষ্ঠপোষক প্রভৃতি নাম উল্লেখ করা থাকে।
- মঙ্গলকাব্যে উল্লেখিত কাহিনি গুলো অনেক পালায় বিভক্ত থাকে।
- মঙ্গল কাবা দেবখন্ড ও নর খন্ডে বিভক্ত।
- সব মঙ্গল কাব্যের নায়ক-নায়িকা স্বর্গ থেকে আগত দেব-দেবী। মর্ত্যে আগমনের উদ্দেশ্য দেব মাহাত্ম্যের প্রচারের জন্য।
- মঙ্গল কাব্যে অনেক আলোচনায় সমুদ্র পথের উল্লেখ থাকে।
- মঙ্গল কাব্যের অন্যতম একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য নারীদের পতিনিন্দার বর্ণনা।
- মঙ্গলকাব্যের অন্যতম একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো দেবীর চৌতিশা স্তব বর্ণনা করা।
- মঙ্গলকাব্য তথা মধ্যযুগের কাব্যের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল নায়িকার বারোমাস্যার বর্ণনা থাকে ।
- মঙ্গলকাব্য গুলোর মধ্যে মনসামঙ্গল ছাড়া, প্রায় সব মঙ্গলকাব্যেই যুদ্ধের বিস্তারিত বর্ণনার উল্লেখ আছে।
- প্রহেলিকা বা ধাঁধাঁ, প্রবাদ-প্রবচন, লোকবিশ্বাস, লোকশ্রুতি প্রভৃতি মঙ্গল কাব্যের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।
- মঙ্গলকাব্যের অপর একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো দেব-দেবতাদের বিদ্রোহীকে তাদের পদতলে নতশীর্ষ করানো।
মঙ্গল গানকে পাঁচালি গান বলা হয় কেন?
মধ্যযুগে অক্ষরবৃত্ত পয়ার ছন্দকে পাঁচালি ছন্দ বলা হত। এই ছন্দে বেশিরভাগ মঙ্গল গান রচিত হতো বলে মঙ্গল গানকে পাঁচালি গান বলা হয়। যেমন, মনসার পাঁচালি, মঙ্গলচন্ডীর পাঁচালি ইত্যাদি বলে উল্লেখ করা হতো।নোবেল পুরস্কার ২০২৪ তালিকা | সকল বিজয়ীদের নাম ছবি সহ
![](https://sattacademy.com/uploads/blog_image/1728307313.png)
নোবেল পুরস্কার ২০২৪ বিজয়ীদের তালিকা || Nobel Prize - 2024 (পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা,সাহিত্য,শান্তি,অর্থনীতি)
চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার - ২০২৪
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এবারের নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন - ২ জন।
ভিক্টর অ্যাম্ব্রোস (Victor Ambros)
গ্যারি রুভকুন (Gary Ruvkun)
❐ অবদান:
মাইক্রোআরএনএ (microRNA) আবিষ্কার এবং এটি পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল (post-transcriptional) জিন নিয়ন্ত্রণে কীভাবে ভূমিকা পালন করে, সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করা।
[for the discovery of microRNA and its role in post-transcriptional gene regulation]
পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার - ২০২৪
পদার্থ বিজ্ঞানে এবারের নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন - ২ জন।
জন জে. হপফিল্ড [John J. Hopfield]
জেফরি এইচ. হিন্টন [Geoffrey E. Hinton]
❐ অবদান:
কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সক্ষম করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য।
[“for foundational discoveries and inventions that enable machine learning with artificial neural networks.”]
রসায়ন বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার - ২০২৪
⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯
রসায়ন বিজ্ঞানে এবারের নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন - ৩ জন।
ডেভিড বেকার [David Baker]
➝ জাতীয়তা - আমেরিকান।
ডেমিস হ্যাসাবিস [Demis Hassabis]
➝ জাতীয়তা - ব্রিটিশ।
জন এম. জাম্পার [John M. Jumper]
➝ জাতীয়তা - আমেরিকান।
⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯
❐ অবদান:
ডেভিড বেকার: প্রোটিন ডিজাইনের কম্পিউটেশনাল পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য।
[for computational protein design]
ডেমিস হ্যাসাবিস এবং জন এম. জাম্পার: প্রোটিনের কাঠামো অনুমানের যুগান্তকারী পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য সম্মিলিতভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন।
[For protein structure prediction]
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার - ২০২৪
⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯
সাহিত্যে এবারের নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন - ১ জন।
হ্যান কাং [Han Kang]
➝ জাতীয়তা - সাউথ কোরিয়ান।
⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯
❐ অবদান:
তিনি নোবেল পেয়েছেন তার রচিত কাব্যিক আবেদনময়ী ফিকশন রচনার জন্য যেগুলো তীক্ষ্ম ঐতিহাসিক মনোবেদনা তুলে ধরে এবং মানবজীবনের ভঙ্গুরতাকে প্রকাশ করে। [for her intense poetic prose that confronts historical traumas and exposes the fragility of human life]
👑 শান্তিতে নোবেল পুরস্কার - ২০২৪
⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯
👑 শান্তিতে এবারের নোবেল পুরস্কার লাভ করেছে - ১টি সংস্থা।
🏅 নিহন হিদানকিও [Nihon Hidankyo]
➝ জাপানিজ সংস্থা।
⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯
❐ অবদান:
একটি পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার প্রচেষ্টার জন্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যের মাধ্যমে প্রমাণ করার জন্য যে পারমাণবিক অস্ত্র কখনোই পুনরায় ব্যবহার করা উচিত নয়। [for its efforts to achieve a world free of nuclear weapons and for demonstrating through witness testimony that nuclear weapons must never be used again]
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার - ২০২৪
⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯
অর্থনীতিতে এবারের নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন - ৩ জন।
ড্যারন অ্যাসেমোগলু [Daron Acemoglu]
- টার্কিশ-আমেরিকান নাগরিক।
সাইমন জনসন [Simon Johnson]
- ব্রিটিশ-আমেরিকান নাগরিক।
জেমস এ. রবিনসন [James A. Robinson]
- ব্রিটিশ নাগরিক।
⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯⎯
অবদান:
গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে তা নিয়ে কার্যকরী গবেষণা করার জন্য।
[for studies of how institutions are formed and affect prosperity]
চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার - ২০২৪
২০২৪ সালের চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন। তাঁরা মাইক্রোআরএনএ (microRNA) আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার অর্জন করেন। মাইক্রোআরএনএ হলো ছোট জেনেটিক উপাদান, যা কোষের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এই আবিষ্কার জিন নিয়ন্ত্রণের একটি নতুন ধারা উন্মোচন করেছে এবং এটি ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় নতুন দিক উন্মোচনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
তাঁদের গবেষণা মূলত কেঁচো প্রজাতি Caenorhabditis elegans এর ওপর চালানো হয়েছিল, যেখানে তাঁরা দেখান যে মাইক্রোআরএনএ বিভিন্ন জিনের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। পরে তাঁরা এই প্রমাণও পান যে মানবদেহ এবং অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে একই ধরনের মাইক্রোআরএনএ পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রায় ৮০০টিরও বেশি মাইক্রোআরএনএ মানব জিনোমে বিদ্যমান বলে জানা গেছে, এবং এগুলো বিভিন্ন ধরনের জিন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই আবিষ্কারের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার নতুন পথ উন্মুক্ত হচ্ছে, বিশেষ করে ক্যান্সার, সংক্রমণ, এবং স্নায়বিক রোগের ক্ষেত্রে মাইক্রোআরএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে গবেষণা চলছে। যদিও এখনও কোনো ওষুধ বাজারে আসেনি, তবে এই গবেষণাটি ভবিষ্যতের চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান বলে বিবেচিত হচ্ছে
এটি জিন প্রযুক্তি এবং চিকিৎসা গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, কারণ মাইক্রোআরএনএর কার্যকারিতা অনেক রোগের কারণ বোঝার পাশাপাশি নতুন ধরনের চিকিৎসার পথ খুলে দিয়েছে (NobelPrize.org)
২০২৪ সালের চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয় ৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে।
২০২৪ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পাওয়া দুইজন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই -
২০২৪ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন উভয়েই জৈবিক গবেষণায় বিশিষ্ট অবদান রেখেছেন, বিশেষ করে মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে। তাদের গবেষণা কোষের জিন নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে।
ভিক্টর অ্যামব্রোস (Victor Ambros):
ভিক্টর অ্যামব্রোস একজন মার্কিন জীববিজ্ঞানী, যিনি ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মাইক্রোআরএনএ (microRNA) আবিষ্কার করেন, যা ছোট আকারের আরএনএ অণু এবং কোষের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। ১৯৯৩ সালে তার গবেষণায় তিনি প্রথমবারের মতো lin-4 নামের একটি মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার করেন, যা জিন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এবং কোষের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যামব্রোস তার গবেষণায় দেখান, এই ছোট মাইক্রোআরএনএ কিভাবে বড় প্রোটিন তৈরি করতে সক্ষম না হলেও জিনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটি কোষের বিকাশ এবং বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
গ্যারি রুভকুন (Gary Ruvkun):
গ্যারি রুভকুন একজন মার্কিন জীববিজ্ঞানী, যিনি হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলে গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার গবেষণার মূল বিষয় ছিল জিন নিয়ন্ত্রণ। রুভকুন ১৯৯৪ সালে lin-14 নামক আরেকটি মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার করেন, যা কোষের বিকাশের সাথে জড়িত। তিনি প্রমাণ করেন যে এই জিনগুলো কিভাবে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং কোষের বৃদ্ধির সময় কোন জিনগুলি সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় থাকে।
রুভকুন এবং অ্যামব্রোস একত্রিতভাবে কাজ করে দেখান যে মাইক্রোআরএনএ বিভিন্ন জিনের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরবর্তী প্রমাণে তারা দেখান যে এই প্রক্রিয়াটি মানবদেহের জিনোমেও বিদ্যমান।
তাদের গবেষণার প্রভাব:
অ্যামব্রোস এবং রুভকুনের আবিষ্কৃত মাইক্রোআরএনএ জিন নিয়ন্ত্রণের একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মাইক্রোআরএনএ কোষের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং মৃত্যুর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই আবিষ্কার রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, বিশেষত ক্যান্সার ও স্নায়বিক রোগের চিকিৎসায়।
তাদের কাজের জন্য ২০২৪ সালে তাদের নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়, যা তাদের কৃতিত্ব এবং বায়োমেডিক্যাল গবেষণায় তাদের অবদানের স্বীকৃতি ।
পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার - ২০২৪
২০২৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন জন হপফিল্ড (Princeton University) এবং জিওফ্রে হিন্টন (University of Toronto)। ২০২৪ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয় ৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে। তাদের কাজ মূলত কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্কের (artificial neural networks) উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে। এই পুরস্কারটি তাদেরকে মেশিন লার্নিংয়ে (machine learning) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য প্রদান করা হয়েছে, যা বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) অন্যতম ভিত্তি।
হপফিল্ড একটি এসোসিয়েটিভ মেমোরি তৈরি করেন যা চিত্র এবং ডেটা পুনর্গঠন করতে সক্ষম, এবং হিন্টন বোল্টজম্যান মেশিন তৈরি করেন যা তথ্য বিশ্লেষণের জন্য স্বায়ত্তশাসিতভাবে প্যাটার্ন শনাক্ত করতে পারে। এই আবিষ্কারগুলো আজকের শক্তিশালী মেশিন লার্নিং সিস্টেমের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে(NobelPrize.org)।
২০২৪ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জন হপফিল্ড এবং জিওফ্রে হিন্টন উভয়েই কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্ক এবং মেশিন লার্নিং ক্ষেত্রে প্রভাবশালী গবেষক হিসেবে খ্যাত।
২০২৪ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পাওয়া দুইজন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই -
জন জে. হপফিল্ড (John J. Hopfield):
জন হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ১৯৩৩ সালে শিকাগোতে জন্ম নেওয়া হপফিল্ড পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি অর্জন করেন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি মূলত কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্কের বিকাশে অবদান রাখার জন্য খ্যাত। তার উদ্ভাবিত হপফিল্ড নেটওয়ার্ক চিত্র বা প্যাটার্ন সংরক্ষণ এবং পুনর্গঠন করতে সক্ষম একটি ধরনের মডেল। এটি নিউরাল নেটওয়ার্কের বিকাশে একটি মৌলিক ধারণা হয়ে ওঠে, যেখানে নোডগুলোর ভ্যালু সমন্বয় করা হয় যাতে তারা পুনর্গঠিত চিত্রটি সঠিকভাবে পুনর্নির্মাণ করতে পারে।
হপফিল্ডের কাজ পদার্থবিজ্ঞানের "স্পিন সিস্টেম" ধারণার ওপর ভিত্তি করে, যেখানে প্রতিটি অণুর স্পিন এটমের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। তার নেটওয়ার্কে, প্রতিটি নোডকে একটি পিক্সেল হিসাবে কল্পনা করা যেতে পারে এবং তাদের ভ্যালু পরিবর্তন করে নেটওয়ার্ক শক্তির কমানোর মাধ্যমে প্যাটার্ন শনাক্ত করা হয়(NobelPrize.org)।
জিওফ্রে ই. হিন্টন (Geoffrey E. Hinton):
জিওফ্রে হিন্টন যুক্তরাজ্যে ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি বর্তমানে কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টোর অধ্যাপক। হিন্টন কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্কের একটি নতুন ধরনের নেটওয়ার্ক, বোল্টজম্যান মেশিন, উদ্ভাবন করেন। এটি প্যাটার্ন এবং ডেটা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা রাখে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটার নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করতে পারে। বোল্টজম্যান মেশিন পরবর্তী সময়ে মেশিন লার্নিংয়ের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হিন্টন মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগ্রগতিতে বিশাল অবদান রেখেছেন। তিনি মেশিন লার্নিংয়ের ক্ষেত্রে আধুনিক তাত্ত্বিক ভিত্তি তৈরি করেছেন, যা আজকের উন্নত প্রযুক্তি এবং গবেষণায় ব্যবহার করা হচ্ছে(NobelPrize.org)।
তাদের অবদান:
হপফিল্ড এবং হিন্টনের গবেষণা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। তারা নিউরাল নেটওয়ার্কের কাঠামো এবং কাজের মূল তাত্ত্বিক ধারণা প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা আজকের সময়ে বিভিন্ন কাজে, যেমন নতুন পদার্থ তৈরি, ইমেজ রিকগনিশন, এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রসায়ন বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার - ২০২৪
২০২৪ সালে রসায়ন বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস এবং জন এম. জাম্পার। এ পুরস্কার তাঁদের প্রোটিন ডিজাইন ও কাঠামো পূর্বাভাসে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রদান করা হয়েছে।
ডেভিড বেকারকে পুরস্কৃত করা হয়েছে প্রোটিন ডিজাইনের ক্ষেত্রে তাঁর অগ্রণী কাজের জন্য। তিনি কম্পিউটেশনের মাধ্যমে নতুন ধরনের প্রোটিন ডিজাইন করেছেন, যা প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান নয় এবং এটি চিকিৎসা ও বায়োটেকনোলজিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে।
অন্যদিকে, ডেমিস হাসাবিস ও জন এম. জাম্পারকে আলফাফোল্ড প্রকল্পের মাধ্যমে প্রোটিনের ত্রি-মাত্রিক গঠন পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে তাঁদের সাফল্যের জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাঁদের কাজ প্রোটিন ফোল্ডিং সমস্যার সমাধান করেছে, যা রোগ গবেষণা ও ওষুধ আবিষ্কারের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাচ্ছে ।
২০২৪ সালে রসায়নবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পাওয়া তিনজন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই -
২০২৪ সালে রসায়ন বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জয়ী তিনজন হলেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হাসাবিস এবং জন এম. জাম্পার। তাঁরা প্রোটিন কাঠামো পূর্বাভাস ও ডিজাইন নিয়ে তাঁদের অসামান্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন। চলুন, তাঁদের কাজ এবং অবদান নিয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নিই।
ডেভিড বেকার:
ডেভিড বেকার একজন মার্কিন বিজ্ঞানী এবং সিয়াটল ভিত্তিক ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনে অধ্যাপক। তিনি কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন। তাঁর গবেষণা নতুন প্রোটিন তৈরিতে মনোনিবেশ করেছে, যা প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান নয়। বেকারের তৈরি প্রোটিন ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম গবেষকদের বিশেষ প্রোটিন তৈরি করতে দেয়, যা রোগ নিরাময় এবং বায়োটেকনোলজির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। তাঁর কাজ নতুন প্রোটিন ডিজাইনকে উন্নত করে তুলেছে, যা মানবদেহের বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হতে পারে।
ডেমিস হাসাবিস:
ডেমিস হাসাবিস একজন ব্রিটিশ কগনিটিভ বিজ্ঞানী এবং DeepMind প্রতিষ্ঠাতা। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) নিয়ে কাজ করেন। হাসাবিসের নেতৃত্বে DeepMind আলফাফোল্ড প্রকল্প চালু করেছে, যা প্রোটিন কাঠামোর পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। তাঁর তৈরি এআই মডেলটি বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ, প্রোটিন ফোল্ডিং সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করেছে। এর মাধ্যমে নতুন ওষুধ আবিষ্কার এবং রোগ নির্ণয়ে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।
জন এম. জাম্পার:
জন এম. জাম্পার DeepMind-এর একজন প্রধান গবেষক এবং ডেমিস হাসাবিসের সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি আলফাফোল্ড প্রকল্পের মূল প্রযুক্তিগত উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর কাজ প্রোটিন ফোল্ডিং প্রক্রিয়ার গভীর বিশ্লেষণ এবং পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। এই প্রযুক্তি ক্যান্সার, নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ, এবং আরও অনেক রোগের গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এই তিনজনের গবেষণা বায়োমেডিকেল এবং বায়োটেকনোলজির ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করেছে এবং বিশ্বব্যাপী গবেষকদের জন্য একটি শক্তিশালী সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।
২০২৪ সালে রসায়নবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ঘোষনা করার সময়ঃ
২০২৪ সালে রসায়ন বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ৯ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে ঘোষণা করা হয়।
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার - ২০২৪
২০২৪ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাং। তাকে এই পুরস্কারটি প্রদান করা হয়েছে তার "তীব্র কবিত্বময় গদ্যের জন্য, যা ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডি ও মানব জীবনের ভঙ্গুরতা নিয়ে সাহসিকতার সাথে মুখোমুখি হয়েছে।" তার সাহিত্যকর্মগুলোতে মানবজীবনের জটিলতা, ব্যথা ও ট্রমার মতো বিষয়গুলো গভীরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। হান কাং কোরিয়ান ভাষায় লেখেন এবং আন্তর্জাতিক স্তরে তার বইগুলো, বিশেষ করে The Vegetarian উপন্যাসটি, ব্যাপকভাবে পরিচিত।
এই সম্মানজনক পুরস্কারটি তাকে প্রদান করা হয় ১০ অক্টোবর ২০২৪ সালে। ৬ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার ঘোষণা চলতে থাকে, এবং সাহিত্যের জন্য এই পুরস্কার তাকে তার সাহিত্যের অসাধারণ অবদানের জন্য প্রদান করা হয়(NobelPrize.org)